ভূমি দস্যু, সিন্ডিকেট দুর্নীতিতে উঠে এসেছে মো: আব্দুল কাদির ওরফে লন্ডন কাদিরের নাম। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর একে একে বেরিয়ে আসছে ভূমিদস্যু লন্ডন কাদিরের যত অপকর্ম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি নানা দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর। অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতো আলোচনায় আছেন শাহজালাল ব্যাংকের সাবেক এভিপি এবং লন্ডন ইকরাম টাওয়ারের মালিক লন্ডনী কাদির এর নাম।

সিলেটের ভূমি ব্যবসায়ী এই লন্ডনী কাদির। স্থানীয় ও বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে জানা যায় বিগত সরকারের আমলে কাদির বেশ কিছু এমপি মন্ত্রীদের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ পাচার করে আস্থার পাত্রে পরিণত হয় এবং আশীর্বাদপুষ্ট কাদিরের মাথার উপর হাত থাকার কারণে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরবর্তীতে ভূমিদস্যুতে পরিণত হয়। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দাশেরকোনা গ্রামের মৃত আমরু মিয়ার সন্তান মোঃ আব্দুল কাদির নিজ এলাকা সহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন গরিব-দুঃখী মানুষের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জবরদখলসহ সরকারি বিভিন্ন তদবির করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পদ দেশ থেকে লোপাট করেন।

এছাড়াও লন্ডনে কথিত আছে শাহজালাল ব্যাংকের এভিপি আব্দুল করিমের একমাত্র প্রধান সহযোগী এই কাদির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার লক্ষ্যে ছাত্রদের উপর হামলা চালানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থ প্রদান ও সহযোগিতা করেন। এখন তিনি ভোল পাল্টানোর অব্যর্থ চেষ্টায় আছেন। এলাকাবাসী মনে করেন এচেষ্টায় ব্যর্থ হলে যে কোন সময় দেশের বাহিরে পালিয়ে যেতে পারেন মুখোশধারী এই লন্ডনী কাদির।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা হত্যা মামলার আসামী এই লন্ডনী কাদির। অর্থলোপাটকারীদের টাকা নিরাপদে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করায় আস্থার পাত্রে পরিণত হয় এই লন্ডনী কাদির। কোন বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই অর্থের লেনদেন করিয়ে দিয়ে এবং সেই অবৈধ অর্থই আবার নিরাপদে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিতেন এই ভূমিদস্যু কাদির।
ইতিমধ্যেই পারভেজ ফরাজী নামের একজন বাদী হয়ে লন্ডনী কাদিরসহ একাধিক ব্যক্তির নামে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

