Home বিনোদন গান কখনও তাকে ছেড়ে যাবেনা

গান কখনও তাকে ছেড়ে যাবেনা

by Razon

মাগুড়ায় জন্ম নেয়া জাহাঙ্গীর আলমের ছেলেবেলা কাটে গ্রামেই। স্কুল থেকে হাইস্কুল পরবর্তীতে কলেজ পাশ সবকিছুই চলে মাগুড়াতেই। পরবর্তীতে ২০০০ সালের দিকে চলে আসেন ঢাকায়। ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকেই মাস্টার্স শেষ করেন। ঢাকা কলেজে পড়াশুনার সময়ই যোগদেন একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে। চাকরী ও পড়াশুনা একসাথে চালিয়ে যেতে হয় এই মধ্যবিত্ত সাধারণ পরিবারের সন্তানটিকে। শুরু হয় তার জীবন যুদ্ধ। বাবা, মা ও ৬ ভাইয়ের পরিবারে তিনিও হাল ধরেন পরিবারের। ঢাকা থেকেই যা পারতেন নিজের পাশাপাশি পরিবারের জন্য করতেন। বর্তমানে একটি ইমপোর্ট ব্যবসা করছেন জাহাঙ্গীর আলম। এই ব্যবসার কারনেই তাকে প্রায়শই বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করতে হয়। আর এই ভ্রমনটিই হয়ে উঠে তার আরেকটি শখ ও ব্যবসার পরিকল্পনা। এ থেকেই শুরু করেন টুরিজম ব্যবসা। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির নাম স্মার্ট কনসালটেন্সি।

এভাবে ভালোই চলছিলো তার। কিন্তু মনের মধ্যে ছোট থেকে লালন করা একটা বিষয় তাকে বেশ ভাবিয়ে তুলতো প্রায়ই। গান! গান তার ভিশন প্রিয় একটা বিষয়। বাবার ব্যবহৃত একটি হারমোনিয়ামে গান করতেন বড় ভাই। তার গান শুনেশুনেই গানের প্রতি আগ্রহী হয় জাহাঙ্গীর আলম। একসময় নিজেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে ৮০ ও ৯০ দশকের সেরা শিল্পীদের গানগুলো কাভার করতে থাকেন নিজে নিজেই। বাস্তব জীবনে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ও শিক্ষা গুরু না থাকলেও শুধুমাত্র নিজের ভালোলাগা ও চর্চায় গাইতে থাকেন সুন্দর সুন্দর গান। পরিবার ও বন্ধুদের আড্ডায় নিজেজে আবিস্কার করেন শিল্পী হিসেবে। নিজেকে তিনি শিল্পী বলতে না চাইলেও বন্ধুদের উৎসাহে ভালো গায়কির কারনে অডিশন দেন বিটিভিতে। আর তার গায়কিতে মুগ্ধ হয়ে বিটিভিতে নিয়মিত শিল্পীর সম্মান পান। তাতে আরও আগ্রহ বেড়ে যায় এই গুনি মানুষটির।

জাহাঙ্গীর আলমের নিজের মৌলিক গান না থাকলেও দেশের বরেণ্য শিল্পীদের গানই গেয়ে চলেছেন অবিরাম। কর্মব্যস্ততার কারনে নিজের গান করা হয়ে উঠেনি। সম্প্রতি তিনি বেশকিছু মৌলিক গানের কাজ শুরু করেছেন। নিজের ও অন্যের লেখা কয়েকটি গানে সুর ও সঙ্গীতের কাজ চলছে। এবছরের মাঝামাঝিতে তার নিজের মৌলিক গান গুলো প্রকাশ পাবে এমনটাই আশা করছেন এই শিল্পী।

এই প্রজন্মের তরুণ শিল্পীদের গাওয়া গান তার ভিশন ভালো লাগে। নতুনদের প্রতি তার একটাই প্রত্যাশা- তারা যেন গানকে ভালবেসে ধারণ করেন। শুধুমাত্র ভাইরাল হবার প্রতিযোগিতায় নয়, একজন শিল্পী হিসেবে নিজের ভালোলাগা কে প্রাধান্য দিবে সর্বপ্রথম আর বাংলা গানকে নিয়ে যাবে অন্য উচ্চতায় এমনটাই আশা।

জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন গান তাকে বেধে রেখেছে আমৃত্যু। যতদিন প্রাণ থাকবে এবং বন্ধু পরিবারের মতো শ্রোতা থাকবে ততদিন গান করে যাবেন শত ব্যস্ততার মাঝেও। গান কখনও তাকে ছেড়ে যাবেনা।

You may also like

Leave a Comment