জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা জাতিবৈচিত্র্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় আজ ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার বিকেল ৫:০০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-এর অংশ হিসেবে জাতিবৈচিত্র্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এতে সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে. এস. মং। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. মোঃ সেলিম রেজা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার ও সংস্কৃতিকর্মী অলিক মৃ, রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, ঢাকা মহানগর-এর সভাপতি ক্য চিন ঠে ডলি রাখাইন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চ নু মং।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন প্রমুখ।
সেমিনার শেষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘কালচারাল প্যারাডাইম শিফট’ প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন একাডেমির সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (সংগীত) এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম শামীম আকতার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্যের মাধ্যমে অতিথিদের বরণ করে নেয় নাটোরের মালপাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের শিল্পীবৃন্দ। এরপর চাকমা জুম নৃত্য পরিবেশন করে রাঙামাটির চাকমা সম্প্রদায়ের শিল্পীবৃন্দ এবং কারসা ফোক ব্যান্ড (সাঁওতাল এবং ওরাওঁ সম্প্রদায়, রাজশাহী) পরিবেশন করে ‘বাংলা দেশম, মজ দেশম’ ও ‘কাতেই সুন্দর রাজ হামার ঝাকামাকা ডেরা’ গান দুটি। খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করে ত্রিপুরা কাথারক নৃত্য। মনিপুরী গান ‘মধুর শ্রী বৃন্দাবনে খেলতাঙাই আজি’ ও ‘দুরে থাইলে ও হমাজি কতিয়ো দুরেই’ পরিবেশন করেন মিঙ্গেল ব্যান্ড এবং মনিপুরী মৃদঙ্গ নৃত্য পরিবেশন করে মনিপুরী, মৌলভীবাজার। রাঙামাটির মারমা গানের দল সাইক্লোন পরিবেশন করে ‘হোজপানা’ ও ‘সাংগ্রাই’ গান দুটি। পাংখোয়া সম্প্রদায়, বিলাইছড়ি পরিবেশন করেন ‘পাংখোয়া বাঁশ নৃত্য’। বান্দরবন ম্রো সম্প্রদায়ের শিল্পী পরিবেশন করেন ম্রো বাঁশি। সবশেষে নৃত্যনাট্য ‘উভগীত’ পরিবেশন করে রাঙামাটির শিল্পীবৃন্দ।
তথ্যসুত্র: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

