বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন, মোবাইল ইন্টারনেট বাজারে একটি উদ্ভাবনী অফার উন্মোচন করেছে। সম্প্রতি চালু হওয়া সীমাহীন ইন্টারনেট পোর্টফোলিওর আওতায় লিমিটলেস সোশ্যাল ও ভিডিও প্যাকে প্রথমবারের মতো গ্রাহকরা সীমা বা গতির সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পাচ্ছেন লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। অফারটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ হয়, তারা উপভোগ করতে পারেন সংযোগের অবাধ স্বাধীনতা। অনন্য এই অফারের সুযোগ মিলছে ‘লিমিটলেস ভিডিও প্যাক’ ও ‘লিমিটলেস সোশ্যাল প্যাক’ এই দুই ভাগে। ‘লিমিটলেস ভিডিও প্যাক’ এর আওতায় থাকছে নিরবিচ্ছিন্ন ও সীমাহীন ইউটিউব, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট ও লাইকি ব্যবহারের সুযোগ। ৩০ দিন মেয়াদী প্যাকটিতে গ্রাহকরা মাত্র ১৮৯ টাকায় ননস্টপ ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন। ‘লিমিটলেস সোশ্যাল প্যাক’ এর আওতায় থাকছে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ (শুধু টেক্সট) ও ইমো ব্যবহারের সীমাহীন সুযোগ। ৩০ দিন মেয়াদী প্যাকটিতে খরচ পড়বে ২৮৯ টাকা। এই ডাটা প্যাকগুলো চালু করার মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করল গ্রামীণফোন। সীমিত ইন্টারনেট ও স্পিড লিমিটের ভাবনা ছাড়া গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন তাদের পছন্দের সব প্ল্যাটফর্ম। সংযোগ, স্বাচ্ছন্দ্য ও অনন্য সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের সংকল্পের প্রতিফলন এই প্যাকগুলো। গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “গ্রাহকদের জন্য প্রযুক্তিকে আরো অন্তর্ভূক্তিমূলক ও কার্যকর করাতে বিশ্বাস করি আমরা। গ্রাহকদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সুবিধাজনকভাবে এই নতুন প্যাকগুলো সাজানো হয়েছে, যাতে গ্রাহকের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়; তারা কানেক্টেড থেকে আরো অনেক কিছু উপভোগ করতে পারেন। সুবিধাজনক এই ডিজিটাল সল্যুশনগুলো অনলাইন ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনবে, যা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের প্রতিফলন ।” মাই জিপি অ্যাপ-এর মাধ্যমে, *১২১# ডায়াল করে অথবা রিটেল টাচপয়েন্টে বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও গ্রামীণফোনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মতো ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট রিচার্জের মাধ্যমে আকর্ষণীয় এই প্যাকগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
Latest News
-
-
সেগমেন্টের প্রথম আইপি৬৯ সমৃদ্ধ ফোন রিয়েলমি সি৭৫: পানির নিচে সচল থাকবে ১০ দিন! মিড-বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে সম্পূর্ণ ধুলা ও পানিরোধী ডিভাইস সি৭৫ নিয়ে হাজির …
-
বিভিন্ন ধরনের সুতা, ফেব্রিক ও আনুষঙ্গিক পণ্য নিয়ে এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন …
-
তথ্যপ্রযুক্তিবাণিজ্যলাইফস্টাইল
আবাসিক খাতে প্রথম স্মার্ট হোম সল্যুশন আনালো গ্রামীণফোন ও বিটিআই
by News Cloud21গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী স্মার্ট হোম সল্যুশন আনতে বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের …
-
রাজধানীতে বুধবার শুরু হচ্ছে সূতা, বস্ত্র ও আনুষাঙ্গিক পণ্যের প্রদর্শনী বিভিন্ন ধরনের …
-
প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ’প্রবাসী প্যাক’ চালু করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় সংযোগ প্রদানকারী কোম্পানি …
-
বাংলাদেশ ল্যান্ড অফিসার্স এসোসিয়েশনের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এনামূল হক …
-
আসন্ন শীত উপলক্ষে শাওমি ফ্যানদের জন্য বিশেষ মূল্য হ্রাস ঘোষণা করেছে গ্লোবাল …
-
তথ্যপ্রযুক্তিবাণিজ্যশিক্ষা
২৯ লাখ প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করেছে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান
by News Cloud21ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তিতে রূপান্তরের যে সক্ষমতা রয়েছে, তা তুলে ধরতে আজ রাজধানীর জিপি হাউজে একটি লার্নিং অ্যান্ড শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও টেলিনরের অংশীদারিত্বে গ্রামীণফোন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূলত “সেফ ডিজিটাল স্পেস ফর গার্লস অ্যান্ড ইয়ুথ (এসডিএসজিওয়াই)” প্রকল্পটি কীভাবে একটি নিরাপদ এবং আরও ক্ষমতায়িত ডিজিটাল ভবিষ্যত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে তা নিয়ে আলোকপাত করা হয়। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির এ উদ্যোগটি আটটি প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ২৯ লাখ মানুষের ক্ষমতায়নে রূপান্তরকারী ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে নারীদের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এই যুগান্তকারী প্রকল্পটির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন ডিজিটাল দক্ষতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অনলাইন নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানোয় গুরুত্ব দেয়া হয়, যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে ও নিরাপদে ডিজিটাল জগতে বিচরণ করতে পারে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ। গ্রামীণফোনের প্রজেক্ট লিড আনজুম রাসনা হাসান ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রজেক্ট লিড খুরশিদ আরা প্রকল্পটির অগ্রগতি ও প্রভাব তুলে ধরে অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দুটি আলাদা সেশনের মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল হক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোখলেছুর রহমান। এছাড়া প্রকল্পের সুবিধাভোগী, অংশীদার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানের বৃষ্টি গোয়ালার কথায় উঠে আসে অনলাইনে কেনাকাটা করা ও সরকারি পরিষেবা ব্যবহারের বিভিন্ন বিষয় তিনি কীভাবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিখেছেন। নতুন নতুন এসব দক্ষতা অর্জনের বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে নিজের নানা চ্যালেঞ্জ এবং সামাজিকভাবে কটুক্তি ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার বিষয়টি অনুষ্ঠানের একটি সেশনে তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ২৩ বছর বয়সী নিয়াশা চৌধুরী মিম। তার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ করে দেয়ায় এসডিএসজিওয়াই প্রকল্পটি নিয়ে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সমাজে তার মতো প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা দিতে এ ধরণের আরো উদ্যোগ চালু করা হয়। রাজশাহী থেকে আসা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী আতিকুর রহমান জানান, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি শিখতে পেরেছেন কীভাবে নিরাপদে ও কার্যকরভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এই শিক্ষা তার খুব কাজে লেগেছে, জীবনটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ই-কমার্সের ওপর প্রশিক্ষণ পেয়েছেন বলে জানান বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া লালমনিরহাটের খুশি। এরপর তিনি অনলাইনে পোশাক বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন যা এখন বেশ সম্ভবনাময়। প্রাণঘাতী ক্যান্সারের কারণে আর কলেজে যেতে পারেননি গাইবান্ধার সীমা আখতার স্মৃতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই কাটত তার অলস সময়। এসময় রেডিও সারাবেলার মাধ্যমে তিনি অনলাইন বুলিং ও হয়রানি সম্পর্কে জানতে পারেন। এমন একটি কার্যকর প্রকল্প চালু করার জন্য গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও তরুণদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষার বৈষম্য দূর করা, অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার করা এবং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে এই পদক্ষেপ।” প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, “আজকের বিশ্বে তরুণদের বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা আবশ্যক। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু ইন্টারেনট ব্যবহার শেখানো নয়; বরং প্রত্যেককে এমন শিক্ষা ও দক্ষতা প্রদান করা যাতে সে ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারেন।” ডিজিটাল বৈষম্য রোধে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। এই ধারা অব্যহত রাখতে সংকল্পবদ্ধ কোম্পানিটি।
-
বাংলাদেশে এআই ও অটোমেশনে সমন্বয় ও উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এরিকসনের সাথে একটি সমঝোতা …