দেশে প্রথমবারের মতো স্পিড-বেইসড লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক চালু করলো শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল সংযোগ সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো অপারেটরটি। নতুন এই অফারগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দমতো সেবা উপভোগ করতে পারেন। অনন্য ও উদ্ভাবনী এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকরা লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন যা তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা ও পছন্দের প্রয়োজন মেটাবে। দেশের ডিজিটাল খাতে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। স্পিড-বেইসড বিভিন্ন প্যাকের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: ২৬৯ টাকায় ৭ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক, ৮৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক এবং ৯৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১৫ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক। বাজারে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে উল্লিখিত মেয়াদ ও গতিতে লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনন্য এই প্যাকগুলোর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “ইন্টারনেট ও সংযুক্ত ডিভাইসের অপার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন; তাই আমরা নিয়ে এসেছি লিমিটলেস প্যাক। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকের প্রয়োজন মেটাতে পেরে আমরা আনন্দিত।” গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “উচ্চগতির ইন্টারনেটকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে আমাদের এই লিমিটলেস ইন্টারনেট প্রোডাক্ট লাইন উদ্বোধন এক বড় পদক্ষেপ। আমরা অনুধাবন করতে পারি, আমাদের গ্রাহকরা তাদের কাজ, বিনোদন এবং প্রিয়জনদের সাথে যুক্ত থাকতে চান নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের মাধ্যমে । নতুন এই প্যাকগুলো গ্রাহকদের জন্য অতুলনীয়; পাশাপাশি তারা পাবেন গতি ও আস্থার নিশ্চয়তা যার জন্য গ্রামীণফোন সমাদৃত। ডিজিটাল ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে আমাদের ক্রমাগত উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার আরেকটি উদাহরণ এই পদক্ষেপ। নতুন এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়িত সমাজ গড়তে গ্রামীণফোন তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে; যে সমাজে সবাই নিজের সুবিধামতো দ্রুতগতির ও নির্ভরশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে।” গ্রাহকরা মাইজিপি অ্যাপ, ইউএসএসডি (*১২১#) অথবা সরাসরি রিচার্জের মাধ্যমে এই প্যাকগুলো কিনতে পারবেন।
যোগাযোগ
নিত্যদিনের জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে ক্রেতাদের জন্য বাংলাদেশে এলো শাওমির রেডমি ১৪সি । অত্যাধুনিক সব ফিচার আর স্টাইলিশ ডিজাইনের স্মার্টফোনটি গ্রাহকদের দেবে স্মুথ পারফরম্যান্স, অসাধারণ কার্যক্ষমতা ও নান্দনিক ভিজ্যুয়াল।
শাওমির রেডমি ১৪সি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৬.৮৮ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ডট ড্রপ ডিসপ্লে, যাতে থাকছে ২৬০ পিপিআই পিক্সেলের ১৬৪০x৭২০ রেজ্যুলেশন। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের এই স্মার্টফোনটিতে কন্টেন্ট ব্রাউজ করা, ভিডিও দেখা বা মোবাইল গেমিং উপভোগের সময় গ্রাহকরা পাবেন মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্ন ভিজ্যুয়ালের নিশ্চয়তা। ডিভাইসটিতে রয়েছে ২৪০ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং যা ফোনটির ব্যাবহারে নিয়ে আসবে দ্রুত গতি। এছাড়াও ৪৫০ নিটস ও ৬০০ হাই ব্রাইটনেস মোড (এইচবিএম) থাকার কারণে সূর্যের আলোতেও প্রাণবন্ত ছবি উপভোগ করতে পারবেন এর ব্যবহারকারী।
ডিসপ্লের পাশাপাশি ফোনটির ডিজাইনও স্মার্টফোন প্রেমীদের মন জয় করবে। স্মার্টফোনটি অভিজাত তিনটি রঙে পাচ্ছেন গ্রাহকরা- মিডনাইট ব্ল্যাক, ড্রিমি পার্পল ও স্টারি ব্লু। প্রতিটি শেড ডিজাইন করা হয়েছে ফোনটির আভিজাত্যকে আরো ফুটিয়ে তুলতে। আর পেছন দিকের স্টার ট্রেইল প্যাটার্ন ফোনটির সামগ্রিক ডিজাইনে এনেছে বৈচিত্র্যের ছাপ।
ফোনটির ৫০ মেগাপিক্সেল ডুয়াল-ক্যামেরা ব্যবহার করে অনায়াসে তোলা যাবে উচ্চ-মানের চমৎকার সব ছবি। এছাড়া ফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেল যাতে রয়েছে ৫পি লেন্স ও এফ/১.৮ অ্যাপারচার। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজে স্পষ্ট ও উচ্চ-রেজ্যুলেশনের ছবি ধারণ করতে পারবেন । এই কনফিগারেশনের ক্যামেরায় কম আলোতেও ছবির গভীরতা ও সঠিক টেক্সচার প্রদান করবে। একইসাথে একটি অতিরিক্ত সহায়ক লেন্স ক্যামেরাটিকে পরিপূরক করেছে। সৃজনশীল ছবি ধারনের জন্য ফোনটিতে রয়েছে এইচডিআর মোড, পোর্ট্রেট মোড ও নাইট মোড। স্মার্টফোনটির সামনের দিকে রয়েছে এফ/২.০অ্যাপারচারসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা যা দিয়ে ব্যবহারকারীকে তুলতে পারবেন ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার পোর্ট্রেট। এছাড়াও ফিল্মক্যামেরা, এইচডিআর এবং সফট-লাইট রিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাবহার করে গ্রাহকরা পেশাদার ফটোগ্রাফিরমত নিখুঁত ছবি তোলার সুযোগ পাবে ।

স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫ হাজার ১৬০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। যা দেবে নিশ্চিন্তে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার নিশ্চিয়তা। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা এক চার্জে ১৩৯.৬৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৪২.৫ ঘণ্টা কল টাইম এবং ২২.৬৪ ঘণ্টা ভিডিও প্লেব্যাক উপভোগ করতে পারবে। স্মার্টফোনটির ব্যাটারি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না গ্রাহকদের। তারা ফোনটির মাধ্যমে দীর্ঘসময় সংযুক্ত ও কর্মতৎপর থাকার সুবিধা পাবে।
শাওমির রেডমি ১৪সি ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে মিডিয়া টেক হেলিও জি৮১ আল্ট্রা প্রসেসসর, যা ফোনটির কর্মদক্ষতাকে আরও বাড়িতে তোলে। দ্রুতগতির পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে ফোনটিতে ১২৮ জিবি স্টোরেজসহ ৬ জিবি র্যাম রয়েছে। এ ছাড়াও র্যামটিকে আরও ১২ জিবি পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন গ্রাহকরা ।
শাওমির হাইপারওএস অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত শাওমির রেডমি ১৪সি পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা ব্যবহারকারীদের দেবে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও দ্রুতগতির স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। স্মার্টফোনটিতে দ্রুত আপলোডিং এবং মসৃণ মাল্টিটাস্কিং নিশ্চিত করতে দেওয়া হয়েছে এপিডিডিআর৪এক্স ও ইএমএমসি ৫.১ মেমরি।
৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ সুবিধার শাওমির রেডমি ১৪সি স্মার্টফোনটির দাম ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, যা দেবে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম সব ফিচার উপভোগের সুযোগ।
শাওমি বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে সবার কাছে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। যার ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য শাওমির এই নতুন সংযোজন। পারফরম্যান্স, স্টাইল ও আস্থার উপর ভর করে গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে শাওমির রেডমি ১৪সি। দেশজুড়ে সকল শাওমি স্টোরে ফোনটি পাওয়া যাবে।
শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে গ্রামীণফোন চায় সবার ক্ষমতায়ন- যেন সবাই সামগ্রিকভাবে সংযুক্ত বিশ্বের অংশীদার হতে পারেন। শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আরও সহজলভ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোন ‘সাইনলাইন’ সেবা প্রদান করে আসছে। এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা ভিডিও কলের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারেন। গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের এজেন্টরা এই সেবা প্রদানে দক্ষ। কার্যকর সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য, গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সকল এজেন্টরা ইশারা ভাষায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ আরাফাত লতা। ইতোমধ্যে তারা অনলাইনে গ্রাহকদের সাইনলাইন সেবায় সংযুক্ত করছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন । এছাড়া অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিশেষ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ প্লে-লিস্ট চালু করেছে গ্রামীণফোন। এখানে প্রতিদিনের কাজে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাইন এবং সচরাচর জিজ্ঞাসিত টেলিযোগাযোগ সেবার টিউটোরিয়ালগুলো পাওয়া যায়। গ্রাহকরা মাইজিপি অ্যাপে সাইনলাইন লিঙ্কের মাধ্যমে সহজেই এই সেবা নিতে পারেন। এই উদ্যোগ সবার অন্তর্ভুক্তি এবং প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতিকে আরো দৃঢ় করেছে। এই বছর আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে গ্রামীণফোন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। এই ভিডিওটির মূল ভাবনা ছিল: “সবার পৃথিবী না বুঝলে, পৃথিবী সবার হবে কিভাবে?”। ভিডিওতে মুক্তা নামের এক তরুণীকে দেখা যায়, যিনি একজন সাংকেতিক ভাষা বিশেষজ্ঞ। মুক্তা তার বাক প্রতিবন্ধী ভাই ইফতি, যিনি শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন এবং তার মতো আরও অনেকে যারা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী তাদের জন্য একজন ব্যাখ্যাকার হিসেবে কাজ করেন। মুক্তার এই অভূতপূর্ব যাত্রা যোগাযোগের তাৎপর্য এবং অন্যকে বোঝার রূপান্তরকারী শক্তিকে তুলে ধরে। মুক্তা তার অভিজ্ঞতার তুলে ধরে বলেন, “যেহেতু আমার বাবা, মা ও ভাই- সবাই শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী তাই আমি শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও সাংকেতিক ভাষা শিখেছি। আমি সাংকেতিক ভাষার ব্যাখ্যাকার হয়েছি, যাতে আমার ভাইয়ের মত অন্যদের যোগাযোগে ও সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করতে পারি। এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। চলমান ‘ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোন। দুই বছরব্যাপী এই উদ্যোগে ডিজিটাল দক্ষতা এবং অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এসব গোষ্ঠীকে। এতে প্রান্তিক মানুষেরা গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল সেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩২ জেলায় ২১ লাখেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী। প্রশিক্ষণ, কমিউনিটি রেডিও এবং যুব-নেতৃত্বাধীন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রামীণফোন এই জনগোষ্ঠীর অধিকারের পক্ষে কথা বলছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তাদের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানও উন্নত করছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসন (ইএসজি) নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “গ্রামীণফোনে আমরা যা কিছু করি তার সব কিছুর কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহক। আমাদের ৮.৫ কোটির বেশি গ্রাহকের মধ্যে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ধরণের মানুষ রয়েছেন। ভাষার শক্তি যেমন অপরিহার্য, তেমনি ইশারা ভাষাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন; যাতে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। আমাদের সেল্ফ সার্ভিস ডিজিটাল কেয়ার মাইজিপি অ্যাপে এবং ওয়েবসাইটে ‘সাইনলাইন’ সেবার অন্তর্ভুক্তি সেই প্রতিশ্রুতিরই একটি অংশ। এর মাধ্যমে আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি আমরা আরও বেশি সংযুক্ত এক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংকল্পবদ্ধ।” এই প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন বলেন, “আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু অন্তর্ভুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা ডিজিটাল দুনিয়ায় মানুষের ক্ষমতায়নে সংকল্পবদ্ধ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেন ভবিষ্যত উপযোগী দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এজন্য বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যেন সবাই সমাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। এই উদ্যোগটি আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন যে, একসাথে আমরা ভাষার বাধা দূর করতে পারি; আর সংযোগের সুবিধাগুলি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কাউকে পিছিয়ে না রেখে বৈষম্য কমাতে পারি।
বিশ্বের বৃহত্তম ইএম টুয়েন্টিফোর সফটওয়্যার সল্যুশন স্থাপন করেছে দেশের শীর্ষ ডিজিটাল সংযোগ প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। বিপুল নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভিটির ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, উল্লেখযোগ্যভাবে গ্রাহক বিলিং এর নির্ভুলতা উন্নত করতে এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এরিকসনের এই প্রযুক্তি। অত্যাধুনিক এই সিস্টেমটি গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক জুড়ে তৈরি হওয়া বিপুল ডেটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং তা ব্যবহার উপযোগী করতে সক্ষম করে। এটি নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্সের আদ্যোপান্ত ও গ্রাহকদের সেবা গ্রহণের ধরণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং বিলিংয়ের মান উন্নত করতে সহায়ক। ইএম টুয়েন্টিফোর সিস্টেমটি ডেটাগুলোকে একীভূতকরণ এবং মানসম্মত একটি ফরম্যাটে আনতে সক্ষম, যা পরিচালনগত দক্ষতা ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এক মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে। অত্যাধুনিক এই সিস্টিমটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা কার্যকরভাবে ১০ কোটির বেশি গ্রাহকের তথ্য ব্যবস্থাপায় সহায়ক; যা দৈনিক ৬শ কোটির বেশি ডাটা ট্রানজেকশনের সমান। যার ফলে এই ধরণের প্রযুক্তি স্থাপনের দিক থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ। এটি শুধু টেলিযোগাযোগ শিল্পের একটি মাইলফলক অর্জন নয়, গ্রাহক তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেবার মান আরো বাড়াতে গ্রামীণফোনের একাগ্রতার প্রতিফলন। ইএম টুয়েন্টিফোরের বহু সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহৃত ডাটা প্রক্রিয়াকরণ, বিভিন্ন ডেটা ফরম্যাট ও প্রোটোকলের মধ্যে সমন্বয় সাধন, বৈচিত্র্যময় নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে সহায়ক এবং গ্রাহক তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে বিপুল সংখ্যক ডাটা প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা। এই মানসম্মত ডাটাগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন: বিলিং, রিপোর্টিং এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের জন্য আরো কার্যকর বিল তৈরি করা। এটি সেবা গ্রহণের পরিমাণ অনুযায়ী যথাযথ বিলিং নিশ্চিত করতে সহায়ক। গ্রামীনফোনের স্থাপন করা এই প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য সহায়ক একটি ভার্চুয়ালাইজড প্ল্যাটফর্মসহ নতুন প্রজন্মের সফটওয়্যার ফিচারগুলো রয়েছে। গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই পদক্ষেপ। গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম এরিকসনের এই ইএম টুয়েন্টিফোর ডেটা মেডিয়েশন ব্যবস্থা স্থাপন আমাদের উদ্ভাবন ও গ্রাহককেন্দ্রিকতার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, যা আমাদের কর্মদক্ষতাকে আরো দৃঢ় করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল ডিজিটাল চাহিদা পূরণে এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করছি, যাতে আমরা ভবিষ্যতের কানেক্টিভিটি এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা দিতে পারি।”গ্রামীণফোনের চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন বলেন, “ইএম টুয়েন্টিফোরের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতাদের ব্যবহার এবং প্রেক্ষাপটের জন্য আরও ব্যক্তিভিত্তিক ও তাৎক্ষণিক ডেটা বিশ্লেষণ এবং এআই-সমৃদ্ধ তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে। এটি আমাদের গ্রাহকদের বিলিংয়ের মান বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি দেবে নিখুঁত বিলের নিশ্চয়তা।”বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো বলেন, “নেটওয়ার্ক সমন্বয়ের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানের জটিল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় একটি শক্তিশালী মেডিয়েশন প্ল্যাটফর্ম অপরিহার্য, যা নতুন প্রযুক্তি ও দ্রুত পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক মডেলগুলোর জন্য নেটওয়ার্কের সব উপাদানের সমন্বয় করতে সক্ষম ।” তিনি আরও বলেন, “গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং পরিচালনগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোনের সাথে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব চালিয়ে যেতে পেরে আমরা গর্বিত। এতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে বিশ্বমানের নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হবে।”
মেগা-স্টার শাকিব খান অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ’তুফান’ এখন গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ মাইজিপিতে উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। ফলে নিজের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী যে কোন সময়, যে কোন জায়গা থেকে সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন সিনোমপ্রেমীরা।
সিনেমার আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফারের অংশ হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্লে প্যাক। এই প্লে প্যাকগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণফোনের সেরা নেটওয়ার্কে শীর্ষস্থানীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি ও হইচই-এ বহুল প্রত্যাশিত সিনেমা ‘তুফান’ উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
তুফান উপভোগের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি প্যাক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭২ টাকায় ৩০ দিনের জন্য হইচই প্লে প্যাক, ৭৭ টাকায় ৩০ দিনের জন্য চরকি প্লে প্যাক এবং ৯২ টাকায় ৩০ দিনের জন্য হইচই ও চরকি উভয় প্ল্যাটফর্মের বাংলা প্যাক। প্যাকগুলো ৩০ দিনের জন্য গ্রহণ করার মাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর সমৃদ্ধ কনটেন্ট লাইব্রেরি থেকে নিজের পছন্দমত যে কোন কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। ফলে বিনোদনের জন্য এই প্যাকগুলো হয়ে উঠেছে অনন্য।
মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই প্যাক কেনা থেকে শুরু করে কনটেন্ট দেখার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি রয়েছে একবার সাইন-অন করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম উপভোগের সুবিধা। সহজ এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের কাঙিক্ষত সেবা সাবসক্রাইব করতে এবং বারবার লগ-ইনের ঝামেলা ছাড়াই তাদের পছন্দের কনটেন্টটি উপভোগ করতে পারবেন। ওটিটি অ্যাপগুলোর মাধ্যমে কনটেন্টগুলো স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপ, পিসি, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ডিভাইসে উপভোগ করা যাবে। ফলে যে কোন জায়গায় যে কোন সময় বিনোদন এসেছে গ্রাহকদের হাতের মুঠোয়।
সাবসক্রিপশনের জন্য সহজেই মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে তা গ্রহণ করতে অথবা নিকটস্থ জিপি রিটেলার পয়েন্ট ভিজিট করতে পারেন গ্রাহকরা।
কো-ব্র্যান্ডেড ফোরজি স্মার্টফোন সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ নিয়ে এলো গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি। বাংলাদেশে তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে উন্নত মানের হ্যান্ডসেটের মত প্রিমিয়াম সব ফিচার। ফলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো এখন চলে এসেছে সবার হাতের মুঠোয়। এই অংশীদারিত্ব ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনকে সক্ষম ও রূপান্তরিত করতে সমাজের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।
৬.৭৫ ইঞ্চির প্রাণবন্ত এইচডি প্লাস ডিসপ্লের সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এ রয়েছে ১.৬ গিগাহার্টজ অক্টা কোর প্রসেসর। ফোনটিতে রয়েছে ৪জিবি সম্প্রসারণযোগ্য ৮জিবি র্যাম ও ৬৪জিবি রম, একটি ৫২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা ও ৫ হাজার মিলি এম্পিয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। কো-ব্র্যান্ডেড অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় রঙে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইন গোল্ড, মেরিন ব্লু, অক্সি ব্ল্যাক ও টাইটানিয়াম গ্রে। অসাধারণ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী এই স্মার্টফোনটির মূল্য ৮ হাজার ৪৯৯ টাকা (অনলাইনে কেনার ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড়া)। গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, গ্রামীণফোন সেন্টার (জিপিসি), জিপি অনলাইন শপ এবং সিম্ফনি আউটলেট থেকে স্মার্টফোনটি কিনতে পারবেন গ্রাহকরা ।
অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যগুলো ছাড়াও গ্রাহকরা অ্যাটম ফাইভ কেনার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ডেটা অফার উপভোগ করতে পারছেন। প্রি-ইনস্টল করা মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ১৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদসহ ৭জিবি ইন্টারনেট (৪জিবি নিয়মিত ডেটা+৩জিবি সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য) উপভোগ করতে পারবেন। এই এক্সক্লুসিভ প্যাকটি শুধুমাত্র কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ক্রয়কারী গ্রাহকদের জন্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে । সক্রিয় হওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত অফারটি একাধিকবার উপভোগ করা যাবে।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “সিম্ফনির সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোন আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী, আধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই পদক্ষেপ। আজকের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে কানেক্টিভিটি আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সিম্ফনি এটম ফাইভ আরো অনেক মানুষকে নির্ভরশীল ও ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ার পাশাপাশি দিচ্ছে স্টাইল ও কার্যকারিতার নিশ্চয়তা। অনন্য ডিজাইন ও শক্তিশালী ফিচারের বদৌলতে স্মার্টফোনটি নিশ্চিতভাবে তরুণদের মধ্যে সাড়া ফেলবে; যারা একই সাথে স্টাইল, পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ের সমন্বয় চান। গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, বিশেষ করে তরুণদের ক্ষমতায়নে। তাদের হাতে আমরা এমন টুল পৌঁছে দিতে চাই যাতে তারা সংযুক্ত থাকতে, তথ্য জানতে এবং পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। অ্যাটম ফাইভ হল সাশ্রয়ী, দুর্দান্ত এবং আধুনিক প্রযুক্তির নিখুঁত সমন্বয়। আমাদের বিশ্বাস ডিভাইসটি গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে আনবে ভিন্ন মাত্রা।”
এশিয়ান টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেলো দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। ‘ডিজিটাল-টেলিযোগাযোগ’ ক্যাটাগরিতে ‘মাইজিপি’ অ্যাপ- এর জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছে অপারেটরটি। এই স্বীকৃতি দেশজুড়ে ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে রূপান্তরিত করতে এবং অ্যাপের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সব ডিজিটাল সেবাকে হাতের মুঠোয় আনতে মাইজিপি -এর ভূমিকাকে তুলে ধরে।
এশিয়ান টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ড এশিয়ার আয়োজক হচ্ছে এশিয়ান বিজনেস রিভিউ, যারা এশিয়াজুড়ে বিভিন্ন খাতে প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয়। প্রযুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিজ নিজ খাতে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানাতেই এই অ্যাওয়ার্ড।
মাইজিপি অ্যাপটি ৩ কোটির বেশি স্মার্টফোনে ইনস্টল করা হয়েছে। গ্রামীণফোনের সেবা গ্রহণের ধারায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে মাইজিপি। এই অ্যাপটির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট, সার্ভিস কাস্টমাইজেশন এবং তাৎক্ষণিক নোটিফিকেশনসহ নিরবচ্ছিন্নভাবে বেশ কয়েকটি ফিচার উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এক ট্যাপে বিল পরিশোধ থেকে শুরু করে বিনোদনমূলক কন্টেন্ট উপভোগের সুযোগ রয়েছে অ্যাপটিতে। গ্রামীণফোনের ৯৯ শতাংশ সেবাই এখন মাইজিপিতে পাওয়া যায়, যা অ্যাপটিকে দেশের বৃহত্তম সেলফ সার্ভিস অ্যাপে পরিণত করেছে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে ডেটা ব্যালেন্স ছাড়া লেনদেন এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল পার্টনারদের সহযোগিতায় জরুরি ব্যালেন্স সেবা গ্রহণ করতে পারেন গ্রাহকরা।
মাইজিপি’কে ওয়ান-স্টপ সল্যুশনে পরিণত করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা অনুযায়ী প্রতিনিয়ত অ্যাপটিকে আরো সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। অ্যাপটি হয়ে উঠছে আরো সহজ, সুবিধাজনক ও গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের উপযোগী। করোনা মহামারি চলাকালীন শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন তাই অনলাইন ক্লাসের জন্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল অ্যাপটি। এছাড়া বিনোদনের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে মাইজিপি। ১০টি’র বেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপসহ লাইভস্কোর আপডেট এবং গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো সরাসরি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে মাইজিপি।
অত্যাধুনিক ক্লাউড-নেটিভ আর্কিটেকচারের মাধ্যমে মাইজিপি অ্যাপ প্রতি সেকেন্ডে ৮ হাজার লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যার ফলে প্রতি মাসে ২ কোটির বেশি সক্রিয় গ্রাহকদের লেনদেন সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। মাইজিপির নতুন সংস্করণ ৫.০ হয়ে উঠেছে আরো সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। হাজার হাজার গ্রাহকদের মতামতের ভিত্তিতে অ্যাপটিকে আরো গ্রাহকবান্ধব করা হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অফিসার (সিডিও) সোলায়মান আলম বলেন, “এশিয়ান টেকনোলজি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্বীকৃতি ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা প্রদানে আমাদের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। মাইজিপি শুধুই একটি বিক্রয় এবং পরিষেবানির্ভর অ্যাপ নয়। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন করে এবং সেবা প্রদান ও প্রযুক্তিগত উকর্ষের দিক থেকে এক নতুন মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে। উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে ও সেবার উন্নয়নে এই পুরস্কার আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। গ্রাহকদের জন্য সত্যিকারভাবে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও এ পুরষ্কার উৎসাহ দেবে।
গ্রামীণফোনের চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন বলেন, “এশিয়ান টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ডটি পাওয়ায় আমরা গর্বিত। প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টার প্রতিফলন এই অ্যাওয়ার্ডটি। গ্রাহকদের প্রয়োজনকে কেন্দ্রে রেখে মাইজিপি অ্যাপটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশে স্থানীয় মেধাবীদের দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে। কোটি মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় টুল হয়ে উঠেছে মাইজিপি অ্যাপ এবং বাংলাদেশে এমন রূপান্তর আনতে পেরে আমরা গর্বিত। নিরবচ্ছিন্ন সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে নতুন নতুন সেবা আনতে আমরা সংকল্পবদ্ধ।”
প্রযুক্তি খাতের নারীদের জন্য আয়োজিতহুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘উইমেন ইন টেক’-এর তিন বিজয়ী চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বিজয়ীরা ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল এনার্জি এক্সপো (আইডিইই) ২০২৪ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া তারা হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় ও ডংগুয়ান ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই সফর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
‘উইমেন ইন টেকের’ বিজয়ীরা হলেন সাফরিনা কবির, মাহমুদা নাঈম এবং সুমাইয়া তারিক লাবিবা। সুমাইয়া তারিক লাবিবা এসবিআইটি লিমিটেডের একজন ডিজাইন ভেরিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। মাহমুদা নাঈম ফোরওয়ার্ন বাংলাদেশের গবেষক ও সমন্বয়কারী এবং সাফরিনা কবির ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি)-এর একজন ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, ‘‘এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত)-এর ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে আমরা প্রতিভাবান নারীদের এ বিষয়ে আগ্রহী করতে চাই। পাশাপাশি তাঁদেরকে প্রযুক্তিক্ষেত্রে সফল ক্যারিয়ার গড়তেও আমরা উৎসাহ দিতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রমাণ করার মতো বিশ্বমানের প্রতিভা বাংলাদেশের নারীদের রয়েছে। উইমেন ইন টেক বিজয়ীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যাতে তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।”
গত বছর প্রথমবারের মতো ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই উদ্যোগে হুয়াওয়ের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ইউনেস্কো। ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে ১৮ জনকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হন এই তিনজন।
হুয়াওয়ে ‘উইমেন ইন টেক’-এর লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষণ, নির্দেশনা ও বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে পরিচিতির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন করে এসটিইএম-এর ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা। হুয়াওয়ের সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব তৈরির লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রোগ্রামটি সারা বিশ্বের শত শত তরুণীকে প্রযুক্তি খাতে পেশা গ্রহণে ও উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রাণিত করেছে।
চলমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরিভিতিত্তে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)’র সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোয় ১০ হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবে কোম্পানিটি। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী পানযোগ্য নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পাঁচটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করবে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের হেড অব ইএসজি ফারহানা ইসলাম বলেন, “এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় বিশ্বাসী গ্রামীণফোন। আমাদের কোম্পানির নেয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি আমরা কর্মীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যাতে তারা স্বেচ্ছায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পান। তাদের ব্যক্তিগত সহায়তা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। সমাজের প্রয়োজনে সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা সংকল্পবদ্ধ।”বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী বলেন, “বন্যার কারণে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোনের সাথে আমাদের এই সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।“ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার লক্ষ্যে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, রাঙামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকায় বিনামূল্যে ১০ মিনিট এবং ৫০০ এমবি ইন্টারনেট প্রদান করছে গ্রামীণফোন, যাতে তারা জরুরি যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে পারেন। গ্রাহকরা *১২১*৫০৫০# ডায়াল করে সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন, যার মেয়াদ হবে ৩ দিন। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় নিকটস্থ চলমান গ্রামীণফোন সাইটে মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার সুযোগ পাবেন মানুষজন।
শাওমি বাংলাদেশ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে ছাতা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, দীর্ঘ সময় ধরে রোদ ও বৃষ্টিতে কাজ করা পলিশ সদস্যদের শাওমি কিছুটা স্বস্তি প্রদান করছে। শাওমির এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশদের গুরুত্বপূর্ণ সেবার স্বীকৃতি এবং সংহতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
ছাতা বিতরণ ১৩ই আগস্ট ২০২৪ বিকেলে ঢাকার গুলশান-১ সার্কেল, গুলশান-২ সার্কেল এবং বনানী ১১ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক চৌরাস্তায় শুরু হয়, যেখানে শাওমি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিথ ছিলেন।

শাওমির চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং উত্তরবঙ্গের প্রধান সব সড়ক, শপিং মল সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্টে মোট ৮০০টি ছাতা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এই বিষয়ে, শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার, জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শাওমিতে, আমরা কমিউনিটিতে অবদান রাখাকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি, এবং যারা জনসেবায় নিরলসভাবে কাজ করেন তাদের সহায়তা করি। এই ছাতা বিতরণ আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন পরিশ্রম করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশের একটি উপায়।”

