কিশোরগঞ্জ-৪ (অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন) আসন থেকে সমাজকর্মী , গবেষক ও উদ্যোক্তা কাজী রেহা কবির সিগমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেলে হাওরবাসীর উষ্ণ ভাললোবাসায় সিক্ত হন তিনি ।
অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ বাজিতপুর পাটুলি ঘাটে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেন। তার প্রথম দিনের কর্মসূচি তে হাওরের ভাতসালা ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিনি অষ্টগ্রামের শাহ কুতুব মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে মাজার জিয়ারত করেন।
পথজুড়ে হাওরের সাধারণ মানুষ সড়কের দু’ধারে দাঁড়িয়ে দুই হাত নেড়ে তাকে কে অভিবাদন জানান। বহু মানুষ ফুলের মালা পরিয়ে তাকে কে বরণ করে নেন। অষ্টগ্রামের হুমায়ূনপুর ঘাটে গণসংযযোগ শেষে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, “হাওরের মানুষ আমাকে কে যে ভাললোবাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। ছোটবেলা থেকেই এখানকার মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আমার বাবা ও চাচার দেখানো পথ অনুসরণ করে আমি এই এলাকার জন্য কাজ করতে চাই। আমি চাই এলাকার মানুষ সুন্দর, শান্তিপূর্ণ সমাজে বসবাস করুক। পারিবারিক মূল্যববোধ ছাড়া ভালো সমাজ গড়া সম্ভব নয়। অষ্টগ্রামের মেয়ে হিসেবে এখন সময় এসেছে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনে র মানুষের জন্য কাজ করার। আমি বিশ্বাস করি — কথার ফুলঝুরি কমিয়ে কাজের পরিমাণ বাড়ালেই এলাকার উন্নতি সম্ভব।”
এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার সাথে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “হাওরের মানুষের ভোট নিয়ে অতীতে যারা সংসদে গেছেন, তারা এখানকার ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেননি। নির্বাচিত হলে আমি অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব। মানুষের উন্নয়ন এবং হাওরের সার্বিক কল্যাণই হবে আমার মূল লক্ষ্য।”
অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন—এই তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের মোট ১৫০টি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ৪,০৩,৭৬৪ জন ভোটার। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সাধারণ ভোটাররা তাকে কে ভাললোবাসা ও পরিপূর্ণ র্ণ সমর্থর্থন জানাচ্ছেন। হাওরবাসীর এই উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রমাণ করে কাজী রেহা কবির সিগমা দ্রুতই স্থানীয় মানুষে র আশা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবেন।
রাজনীতি
ভূমি দস্যু, সিন্ডিকেট দুর্নীতিতে উঠে এসেছে মো: আব্দুল কাদির ওরফে লন্ডন কাদিরের নাম। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর একে একে বেরিয়ে আসছে ভূমিদস্যু লন্ডন কাদিরের যত অপকর্ম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি নানা দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর। অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতো আলোচনায় আছেন শাহজালাল ব্যাংকের সাবেক এভিপি এবং লন্ডন ইকরাম টাওয়ারের মালিক লন্ডনী কাদির এর নাম।

সিলেটের ভূমি ব্যবসায়ী এই লন্ডনী কাদির। স্থানীয় ও বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে জানা যায় বিগত সরকারের আমলে কাদির বেশ কিছু এমপি মন্ত্রীদের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ পাচার করে আস্থার পাত্রে পরিণত হয় এবং আশীর্বাদপুষ্ট কাদিরের মাথার উপর হাত থাকার কারণে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরবর্তীতে ভূমিদস্যুতে পরিণত হয়। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দাশেরকোনা গ্রামের মৃত আমরু মিয়ার সন্তান মোঃ আব্দুল কাদির নিজ এলাকা সহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন গরিব-দুঃখী মানুষের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জবরদখলসহ সরকারি বিভিন্ন তদবির করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পদ দেশ থেকে লোপাট করেন।

এছাড়াও লন্ডনে কথিত আছে শাহজালাল ব্যাংকের এভিপি আব্দুল করিমের একমাত্র প্রধান সহযোগী এই কাদির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার লক্ষ্যে ছাত্রদের উপর হামলা চালানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থ প্রদান ও সহযোগিতা করেন। এখন তিনি ভোল পাল্টানোর অব্যর্থ চেষ্টায় আছেন। এলাকাবাসী মনে করেন এচেষ্টায় ব্যর্থ হলে যে কোন সময় দেশের বাহিরে পালিয়ে যেতে পারেন মুখোশধারী এই লন্ডনী কাদির।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা হত্যা মামলার আসামী এই লন্ডনী কাদির। অর্থলোপাটকারীদের টাকা নিরাপদে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করায় আস্থার পাত্রে পরিণত হয় এই লন্ডনী কাদির। কোন বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই অর্থের লেনদেন করিয়ে দিয়ে এবং সেই অবৈধ অর্থই আবার নিরাপদে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিতেন এই ভূমিদস্যু কাদির।
ইতিমধ্যেই পারভেজ ফরাজী নামের একজন বাদী হয়ে লন্ডনী কাদিরসহ একাধিক ব্যক্তির নামে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘুমধুমে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে মর্টারশেল, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তঘেষা স্থানীয়রা।
লাগাতার গুলি ও বোমার শব্দে টানা তিনদিন তিন রাত ভয়-আতঙ্কে নির্ঘুম কেটেছে সীমান্ত বাসী, আবারো মর্টারশেল এসে পড়েছে ঘুমধুমে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে।
গত মঙ্গলবার(৬জানুয়ারী) সকাল সাড়ে নয়টায় ঘুমধুম এলাকার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়েন পিছনে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ীতে মর্টারশেল এসে পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম জানান সকাল সাড়ে নয়টার তাদের বাড়ীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টারশেল এসে পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন হতাহত না হলেও ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙে যায় ও একটি গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজিবি”র সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মর্টারশেলের খন্ডিত অংশ সংগ্রহ করে নিয়ে যান। এরপর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। অন্যদিকে ঘুমধুমবাসী আরেকটি নির্ঘুম রাত পার করেছে। সীমান্তের ওপারে রাতভর গুলি আর বোমার আওয়াজে সীমান্ত এলাকাবাসী নির্ঘুম রাত পার করেছেন । প্রাণভয়ে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে ঘর ছেড়েছে সীমান্ত ঘেষা স্থানীয়রা।
ঘুমধুৃম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ১,২ ও ৩নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশ পারি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার,ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পাশবর্তী কক্সবাজার উখিয়া, মরিচ্যা, কোট বাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে সোমবার বিকাল থেকেই আশ্রয় নিয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আজকে টানা ৫-৬দিন ধরে সীমান্তে মায়ানমারের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। গত রাতব্যাপী সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে।
স্থনীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান আরো জানান, যতটুকু শুনেছি, ঘুমধুম ইউনিয়নের সম্মুখে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ( বিজিপি)র ক্যাম্প ও ফাঁড়ি আরাকান আর্মিরা দখলে নেওয়ার পর এখন ঢেঁকিবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্প দখলের যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশের সীমান্তঘেষা স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে খোঁজে বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে চলেগেছে। গোলাগুলি চলমান আছে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো লাগাতার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।
ঘুমধুম পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানান সারারাত গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সকাল পৌনে দশটা পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। মিয়ানমার থেকে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ-বিজিবি কড়া সতর্ক পাহাড়ায় আছে এবং জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে বসবাসকারীদের স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
৩৪বিজিবি ও বিজিবি’র প্রধান কার্য্যলয় এর গণসংযোগ বিভাগের তথ্য মতে, গেল রবিরার(৪ফেব্রুয়ারী২০২৪) থেকে সীমান্তে ওপারে প্রতিবেশী মায়ানমারে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি’র বনাম জান্তা সরকার মধ্যকার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীদের ক্যাম্প, ফাঁড়ি দখলের চলমান লড়াইয়ে তুমুল যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে গত রবিবার (৪ফেব্রুয়ারী,২০২৪) ভোর রাত থেকে এই পর্যন্ত মোট ১১৪জন মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সদস্য(বিজিপি) বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) নিকট অস্ত্র সমর্পণ দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি।
গতকাল ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বাংলাদেশ -মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ হয়েছে। শনিবার রাত ৩টা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে। বেশ কয়েকটি গুলি ও মটারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া তথ্য মতে, তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আহত প্রবীর চন্দ্র ধর, তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
এদিকে গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ১৪ জনেরও বেশি সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সীমান্ত আরো ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হেফাজতে আছে। বিজিপি সদস্যদের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে সীমান্তের উত্তেজনা বৃদ্ধির কারনে সীমান্তের ১০০ গজ দুরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার কথা যানান বান্দবান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান জানান আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি।।
৪/০১/২০২৪ ইং
আজ বিকাল- ৪:০০টায় ঢাকা আজমপুর,উত্তরা এলাকার আমির কমপ্রেক্সের সামনে এক বিশাল পথসভায় অংশগ্রহন করেন মোহাম্মদ মফিজুর রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, ১৯১ ঢাকা-১৮ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ মার্কা হতে নমিনেশন পাইয়া ঢাকা-১৮ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন।

উক্ত পথসভায় স্থানীয় ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন ও ভালবাসা পেয়েছেন বলে তিনি অবহিত করেন এবং তার পক্ষ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের সকল ভোটারদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
এসময় তিনি বলেন ‘আমি এলাকাবাসীর সকলের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে একসাথে কাজ করতে চাই’।

“আমাকে অন্যায় ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে” বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ
এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি।।
দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ২য় বারের মতো বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার ২ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ সাংবাদিকদের বলেন, কোন প্রকার কারন দর্শানো নোটিশ না দিয়ে এই ধরণের বহিষ্কার করা অন্যায়, আমি প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন করবো না। বিএনপির নেতা আব্দুল কুদ্দুছ এর বহিষ্কার প্রসঙ্গে বান্দরবান বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ওসমান গণি সাংবাদিকদের জানান,আমি চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি, কুদ্দুছ চেয়ারম্যান এর বহিষ্কার করার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
প্রসঙ্গত, আব্দুল কুদ্দুছ বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করার কারনে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ জেলা বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার করা হলে পরে প্রত্যাহার করা হয়। ২ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২য় বারের মতো বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আ:লীগের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং,স্বতন্ত্র প্রার্থী মংঞে প্রু চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী এটি এম শহিদুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
বান্দরবান প্রতিনিধি।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০ নং সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং,স্বতন্ত্র প্রার্থী মংঞে প্রু চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এটিএম শহিদুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। রবিবার ৩ডিসেম্বর সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই- বাছাইয়ের পর তাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজীমি, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাদাত হোসেন’সহ প্রার্থীর প্রস্তাব কারী, সমর্থনকারীসহ অন্যরা । উল্লেখ্য এই আসন হতে বিগত ৬ টি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বান্দরবান-৩০০ নং আসনের ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা, ৩৪ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২,৯৩,৯১১ জন। এর মধ্যে ১,৫২,৭৭৯ জন পুরুষ, ১,৪১,১৩২ জন মহিলা ভোটার রয়েছে। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা- ১৮২ টি।
বান্দরবানে মনোনয়ন জমা দিলেন আঃ লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর ও স্বতন্ত্র মংঞে প্রু চৌধুরী
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে বান্দরবান আওয়ামী লীগ প্রার্থী পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
২৯ শে নভেম্বর বুধবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের কাছে এই মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজপুত্র মংঞে প্রু চৌধুরী ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দানের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, সহ-সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব মোঃ শফিকুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাস,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসাপ্রু মারমা, অজিত কান্তি দাশ, জেলা আ: লীগের সদস্য চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সত্যহা পাঞ্জা ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু অমল কান্তি দাশ,পৌর আওয়ামী লীগের ও পৌর মেয়র মো: শামসুল ইসলাম,বান্দরবান লামা পৌর মেয়র জহির উদ্দীন চৌধুরী, আ: লাীগের মো: আবুল কালাম,মো:খলিল’সহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি মঞ্জু গ্রুপের সমর্থিত প্রার্থী এটিএম শহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দানের কথা থাকলেও এখনো তিনি দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন আজকালের মধ্যেই তিনি মনোনয়ন জমা দিবেন। সাত উপজেলা ও দুটি পৌরসভা নিয়ে বান্দরবান ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসন। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩০।
১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং এই আসনটিতে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। বর্তমানে তিনি পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। এবারও তিনি সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি।।
বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক ১১০টি পুনর্বাসিত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান।
এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং ও ক্যাপলং পাড়ায় বসবাসকারী ১১০ টি পুনর্বাসিত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৯পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ এসজিপি,এনডিসি,এএফ ডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি,জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম,বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সম্প্রদায়ের নারী নেত্রী মেরী জয় বম,রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চহাই মং মারমা,রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেহ্লা অং মারমা,আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব নাথ তংচঙ্গা,পাড়া কারবারি, সুবিধাভোগী জনসাধারণ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, প্রথম আলো সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা,৭১টিভি প্রতিনিধি জহির রায়হান, জি টিভি প্রতিনিধি মো:ইসহাক, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মুহাম্মাদ আলী,এসএ টিভি প্রতিনিধি উ সি থোয়াই’সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন দীর্ঘ সংহিতায় এই এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধাপে ধাপে কিভাবে আলোচনার অগ্রগতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সেইদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন আমরা চাই একটি সৌহার্দপূর্ণ বান্দরবান, যেখানে নানা ধর্ম বর্ণ সকল সম্প্রদায়ের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় থাকবে। যারা পূর্বে পাড়া থেকে চলে গিয়েছিলো তারা নির্ভয়ে আবার পাড়ায় ফিরে আসতে পারবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী অতীতের মতো এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। ২৭শে নভেম্বর সোমবার সকালে প্রথমে ক্যাপলং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ২৮ জন এবং পরে পাইক্ষ্যং পাড়া ফুটবল মাঠে ৮০ জন সহ মোট ১১০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ সামগ্রী, শীত বস্ত্র এবং ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর ভয়ে মানুষজন কয়েকটি পাড়া হতে পালিয়ে যায়। বম জনগোষ্ঠীর ৯৭টির অধিক পরিবারের ৪০০ জনের অধিক সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলা অস্থিরতার অবসান ঘটে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফ এর শান্তি আলোচনার মাধ্যমে। পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা কে আহ্ববায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠিত শান্তি কমিটির সাথে গত ৫ই নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক এর ফলশ্রুতিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজেদের আবাসস্থলে ফিরতে শুরু করে বম সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।
- 1
- 2

